নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে থানায় আনার পথে কৌশলে হাতকড়া থেকে হাত বের করে পালানোর তিনদিন পর আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভোর ৩টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে রাজিবকে গ্রেপ্তার করে কলমাকান্দা থানা পুলিশ। রাজিব তালুকদার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বাউসারি গ্রামের রামকৃষ্ণ তালুকদারের ছেলে।
এলাকায় কুখ্যাত চোর হিসেবে রাজিবের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। কলমাকান্দা থানায় চুরিসহ একাধিক মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে এবং সে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (১ আগস্ট) রাতে নিজ ইউনিয়নের যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে রাজিবকে গ্রেপ্তার করে কলমাকান্দা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে একই ইউনিয়নের অন্যান্য এলাকা থেকে সোনা মিয়া ও আলমগীর নামে আরেকজনকে আটক করে পুলিশ।
তিনজনকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে নৌকাযোগে বড়খাপন এলাকায় আসার পর তাদেরকে মোটরসাইকেলে তুলে থানার উদ্দেশ্যের রওয়ানা দেয় পুলিশ। আরও পড়ুন: হেলেনা জাহাঙ্গীরের ২ সহযোগী আটক তবে, রাজিবের হাত চিকন থাকায় সে পুলিশের অজান্তে কৌশলে হাতকড়া থেকে নিজের হাত বের করে ফেলে। পথিমধ্যে রাজিব প্রস্রাবের চাপ দিয়েছে বলার পর পুলিশ মোটরসাইকেল থামালে পালিয়ে যায় সে।
বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ.কে.এম হাদিউজ্জামান হাদিছ জানান, রাজিবের বিরুদ্ধে কলমাকান্দা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে এলাকার কুখ্যাত একজন চোর ও তার অত্যাচারে এলাকবাসী অতিষ্ঠ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অন্যান্য থানাতেও মামলা মামলা রয়েছে। কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল আহাদ খান রাজিবকে আবার গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, মামলার ঊর্ধ্বতনের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দায়িত্ব অবহেলার দায়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।